গমগমে ঘর
কর্ণ, কুন্তী সংবাদ বিতরণ করছেন মঞ্চের
আলো আঁধারী ঘুমন্ত কুরুক্ষেত্রে
সঞ্চালনায় শান্ত উদার স্বর প্রক্ষেপন…
শত সহস্র দর্শক নিশ্চুপ মন্ত্রমুগ্ধ।
সমস্ত আয়োজনের শেষে নিভু নিভু রাত
তানপুরায় বেঁধে নিল বিষাদ…
শূন্য এ প্রান্তরে ফিরে এস সুখ
পার্থ দা!
বলো চন্দ্র…
তফাৎ কেবল এই,
হ্যাঁ চন্দ্র, এ পারের দর্শক জ্বলে ওঠে আনন্দে
অন্ধকার চিরে আলো বুনতে জানে
দেবতার গ্রাস শুনে চিৎকার করে বলে,
'শোন নি কি জননীর অন্তরের কথা?'
সে তো নয় দেবতা মোটে…
চন্দ্র!
এখনো অনেক বাকি পার্থ দা!
আমি ঘোষণা শুরু করি এইবার…
চন্দ্রমৌলি বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতের মুঠোয় মাইক্রোফোন, চোখে জিজ্ঞাসা
শুরুটা করবো কোথায়?
গৌরী দি! এই যে এত প্রেম তোমার
ডেকে নিলে দাদাকে তোমার কাছে
বলো তো, এই দিয়ে করি শুরু?
আলোচনার শেষে আবার নামলো রাত
মঞ্চ ঝলমল করে উঠলো।
থোকায় থোকায় জোনাই আলোকসজ্জায়
মাইক্রোফোনের সামনে শুভ্র দুই ঠোঁট নড়ে উঠলো।
আকাশবাণী আকাশ…
আজকের উপস্থাপনা…
করতালিতে চিরে যাচ্ছে সমগ্র আকাশের রাত্রি
ভীষণ আগ্রহে তারারা আবেগ ছুঁড়ে দিচ্ছে
আরো চাই! আরো চাই!
আমরা সৃষ্টি চাই!
সকাল হতেই টুক করে খসে পড়লো উল্কা-ফুল
তানপুরার সুর বদলে গেল একাদশী কন্যের হাতে
তার আবৃত্তি মুগ্ধ করে তুললো অপর প্রতিযোগীকে
বাহ! দারুণ কণ্ঠ তোমার! নাম কী?
মেয়েটি বড় সপ্রতিভ… গৌরী। আর তোমার?
পার্থ।
হাসছে চন্দ্র মৌলি।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অভ্যেস করছে
আকাশবাণী পৃথিবী! আপনারা শুনছেন…
শূন্যতা কোনোদিন শূন্য থাকে না।
আবার মাটি জন্মায়।
—-----------––--–------–––
SUJAN MITHI (SUJATA MISHRA)
No comments:
Post a Comment