-আমার হাতে বসো।
-ধোঁয়ার হাতে ধোঁয়া?
-মেঘের বুকে মেঘ।
-তাই তো ভাবি একলা কেন থাকি!
- এখনও অনেক যে রয়ে আছে বাকি!
-অনেক দিনের ইচ্ছে, আমার এই মরুদ্যান
নিয়ে কখনও লিখলে না, কবি!
- এবার লিখব। মরুদ্যান নিয়ে, আলো নিয়ে…
- কী দিয়ে লিখবে?
- বাতাস দিয়ে।
- দেখতে পাবে পৃথিবী?
- শুনতে পাবে।
- নিজের নিজের বুকে কান পাতলেই শুনবে। -সবার বুকেই মরুদ্যান থাকে?
-থাকে তো!
-আমার কপালে তোমার ঠোঁট এঁকে দাও।
- তোমার হৃদয় ছুঁয়ে আছে আমার হৃদয়।
- এই শোনো! ওই দেখ, আমাদের বইয়ের ঘরটায়
একটা মাকড়শা এর মধ্যেই...ওদের একটু নিষেধ দাও না!
- ভালো করে চেয়ে দেখ, একটা নয়, দুজন। ওরাই এখন থেকে ওখানে বসুক, ভালোবাসুক।
-একজন আগে চলে গেলে তোমার মতই অপরজনকে ডেকে নিক এভাবেই…
এই শোনো! মেঘেদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে
আবার নাওয়া খাওয়া ভুলো না!
- হা হা হা! এখন তো শুধু ভালোবাসা খাওয়া, বৃষ্টি নাওয়া…
একবার নীচের দিকে তাকাও।
মানুষগুলো দেখতে পাচ্ছ? এবার ওদের ভিতরে তাকাও। ওদের স্বার্থ, হিংসা, মনখারাপ দেখতে তোমার কি আর চশমা লাগছে?
- ওই বাতাস এল। তুমি কবিতা বোনো। আমি তোমার ধোঁয়া পিঠে ঠেস দিয়ে বসি।
______________
Sujata Mishra
No comments:
Post a Comment