সন্ন্যাসিনীর শান্ত চোখ ধীরে ধীরে ভোর ছাড়ালো।
বেলা বাড়লো।
হঠাৎ তাঁকে ঘিরে হই হই কলরব!
অট্টরোল…
নারী! নারী! নারী!
শান্ত চোখে আগুন জ্বলে উঠল
ধ্যানগম্ভীর বৃক্ষের চারপাশে
রক্ত বর্ণ মাটি আগুনে স্নান শুরু করল
কলরব থমকে গেল
ত্রাস ফুটে উঠল দ্বিপ্রহরে
সন্ন্যাসিনীর গেরুয়া বসনে অনুতাপ ছুঁতে এল
তুমি মাতা! ক্ষমা করো! ক্ষমা করো!
দগ্ধ ধুলো বাতাসে বাতাসে ঘুরে চরণে হাত রাখলো
তাঁর…
শাখায় শাখায় চাতকের আহ্বান
বাঁশবনে পথিকের প্রশ্বাস
ধীরে ধীরে নিভে এল ক্রোধ
বৃষ্টি নেমে এল অগ্নি বর্ষণের পরে।
অন্তঃসত্ত্বা ধানক্ষেতের বুকে নৃত্য-সুখ
সন্ন্যাসিনীর বন্ধ চোখ। অবারিত ক্রোড়।
কচি মুকুল টুপ করে এসে পড়ল তাতে।
সব পাখি গৃহে ফিরবার পালা হয়ে এল
সব কাঁধ নিশ্চিন্ত নিদ্রায়
সন্ন্যাসিনী তাঁর হাতখানি বাড়িয়ে দিলেন
নভোনীলের দিকে…
সিক্ত মাটির তিলক পরিয়ে দিলেন আকাশের
ললাটে।
করজোড়ে বললেন,
'রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখং,
তেন মাং পাহি নিত্যম্।'
বৃক্ষের পাশে চারা।
চারার ঠোঁটে গান…
'হে নূতন…'
–––---------––––
SUJAN MITHI (SUJATA MISHRA)
No comments:
Post a Comment