বাবুই পাখির আকাশ ছিল, ডানা ছিল, গানের মত ঘর ছিল।
চড়াই বড় একলা! বিষাদের উপর শুয়ে ছিল।
একদিন চড়াই বাবুইয়ের ডানায় তার দুঃখ ঢেলে দিয়ে বলল, আমার পৃথিবী নেই, গান নেই, ঘর নেই।
বাবুইয়ের নরম মন গলে গেল। বাবুই চড়াইকে তার সুর দিল, স্বর দিল, ঘর দিল…
চড়াই গান পেয়ে বাবুইয়ের পাখায় পা দিয়ে উঠে দাঁড়াল। সুর পুঁতল মাটিতে…
শ্রেষ্ঠ সুরকার হল চড়াই। আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত চড়াই!
বাবুই বলল, শোনো চড়াই আমি একটা গান লিখেছি। শুনবে?
চড়াই বলল, গান লিখেছ? ভাসিয়ে রাখো বাতাসে। আমি সময়ে শুনে নেব।
বাবুই গান হারালো, মান হারালো, বন হারালো।
ডানা কেটে রক্ত পড়লো তার। চড়াই শুধুই তার ঘর চায়, দানা চায়।
চড়াই কে ডাকে এস গল্প করি।
চড়াই তখন রোদ্দুরে সোনা খুঁজতে ব্যস্ত।
বাবুই রক্তাক্ত ডানায় চড়াইয়ের পা ধরল একদিন।
বলল, একদিন তুমি ঠিক চিলেকোঠা খুঁজে পাবে দেখো! অনেক সোনা, অনেক দানা…
চড়াই তার ভুল বুঝতে পারলো। বাবুই কে ফিরিয়ে দিল তার মন।
বাবুই কিছুদিন ক্ষত নিয়ে বসে রইল চড়াইয়ের ডাকের অপেক্ষায়, তারপর উড়ে গেল।
চড়াইয়ের এতদিনে বোধ হল,
বনে আর ধনে গাঁটছড়া বাঁধা যায় না।
—-----------------
SUJAN MITHI (SUJATA MISHRA
No comments:
Post a Comment