এই ঘর বড় কঠিন। দম বন্ধ হয়ে আসে।
দুই নর নারী হাতে রাখলো হাত। বললো,
চলো আদিতে ফিরে যাই
যেখানে কোলাহল নেই। কংক্রিট নেই।
নদী যেখানে সুর দেবে। ঝর্ণা দেবে ফুল
পাহাড়ে পাহাড়ে লুটিয়ে পড়বে মেঘ
আদুল গায়ে রোদ মাখবো
হলুদ সর্ষে ফুলে প্রজাপতি হয়ে উড়বো
চলো ফিরে সে অরণ্যে…
একদিন নরের হাতে নারী রাখলো হাত।
এ অরণ্য বড় বেশি সরল।
মন লাগে না আর…
নর বিস্মিত। কেন আমি যে আছি!
এত বৃক্ষ! পাখি! এই কি তপোবন নয় প্রিয়ে?
নারী উদাস।
নর ঘাম ঝরিয়ে বাঁধলে ঘর।
মাটি পুড়িয়ে খাসা ইঁটের ঘর।
ঝড় এলে ভাঙবে না। পোক্ত দরজা।
ইচ্ছে হলেই ঠেলে ঢুকতে পারবে না বাতাস…
নর বললো, এত বৃক্ষের কী প্রয়োজন?
ছেদ করি তবে। আসবাব হবে।
নদীতে বড় স্পর্ধা! বাঁধ দিতে হবে তাড়াতাড়ি
নরের হাতে হাত রাখলো নারী।
অনেকদিন নদীর কোনো গান শুনিনি
এই ঘর বড় কঠিন। দম বন্ধ হয়ে আসে
চলো গান শুনে আসি…
নদী! তোমার গান কোথায়?
তুমি এত কাদঁছো কেন?
নরের চোখে ব্যস্ততা
আঃ! গান দিয়ে কি সভ্যতা বোনা যায়?
কাঁদছে নারী। পৃথিবীর আদিম নারী।
সে তাদের অরণ্য ও আনন্দ-তপোবনের নাম রেখেছিল, স্বর্গ।
—------------––
SUJAN MITHI (SUJATA MISHRA)
No comments:
Post a Comment