লোকটা বড্ড শক্ত!
অনেকটা মরুভূমির মত
লোকটার বুকের বাম দিকে হৃৎপিণ্ড রক্ত মাপে-
সব বিন্দু ঘামের জন্য…
শিরা, ধমনী, স্বভাব… বন্য
লোকটা বড় অদ্ভুত!
একদিন তার ঘরে চাঁদ ছিল
ছাদের উপর রোদ্দুর
হাত বাড়িয়ে পেড়ে নিত স্বপ্ন
একদিন লোকটার বন্ধু ছিল!
একদিন লোকটার প্রেম ছিল!
লোকটা যেন কেমন!
হৃৎপিণ্ডের ভিতর যে মন আছে তার
তা যেন সবসময় লুকিয়েই রাখবে!
দিন রাত পরিশ্রম করে লোকটা।
মেরুদণ্ড ঋজু…
চোখের সামনে ধ্বংস দেখলে লোকটা
ক্ষেপে ওঠে!
নটরাজ হয়ে ওঠে!
আরো আরো ধ্বংস করে দেয় ধ্বংসকে!
লোকটার কী যেন এক হয়েছে আজকাল
অতীত থেকে ছেঁকে আনে বেঁচে থাকার কারণ
কিন্তু লোকটা জানে না …
বিকেল কখনো নিস্তেজ হয় না!
তার পরে যে আলো নেমে আসে
তার নাম গোধূলি।
রাত নামলেই ঝিকিমিকি তারা
জ্যোৎস্নার কথকথা…
স্বপ্নের নাচন
লোকটাকে কেউ একটু বলে দেবে গো,
গভীর রাতেও শিশু ভোর স্বপ্নে আসতে পারে?
শুধু হৃদয়-উঠোনে সেই শিশুর জন্য
একটা খেলাঘর বুনে রাখা
লোকটার বড় দরকার!
–
SUJAN MITHI (SUJATA MISHRA)
No comments:
Post a Comment