আর একটু পরেই ঝরে পড়বো আমি! আমার সঙ্গে মিলবে এসে ঝড়, বিদ্যুৎ! বজ্র এসে দুষ্টুমি করে খুব!
ও মা! ওকে একটু বকে দিও তো আজ। ভিজতে চেয়ে বেলা কাটায় যে মাটি, তাকে বুঝি ভয় দেখাতে হয় ওর মত?
আমার জরায়ু চিরে বেরিয়ে আয় বাছা! জন্ম নিয়ে যা ভেসে যা গাছে গাছে শাখায় শাখায়…মাধবী বিতানে, কবিদের গানে…বর্ষা মঙ্গলে, চাষীদের ধানে…
আচ্ছা। বজ্র এলে আমি তাকে বলে দেব, বিষম না দেখলে সে যেন ঘরের বাইরে আজ না যায়।
আমায় শক্ত করে ধরে আছে ধূলার আদর। ওর ভারী মনখারাপ, কিছুতেই যেতে চায় না আর বিশ্বে। বলে, ওখানে বড় যাতনা! বড় বেদনা! হিসেব নিকেষ জটিল…
ওকে বল… ও না গেলে কেমন করে পা রাখবে ঘাস? কেমন করে স্বপ্ন এসে হামাগুড়ি দেবে? রাত্রি বেলা আমার চাঁদ এসে উপুড় হবে তবে কোথায়?
ও মা! মা গো! আমি এবার তবে যাই…
শোন রে মেয়ে আমার! শোন রে বাছা শোন
যেখানে দেখবি আছে যত কান্না ধুয়ে নিয়ে যাস সঙ্গে তাকে…সমুদ্রে মিলিয়ে দিবি। স্নেহ দিবি, তারপরে তার ঘরে ছাত হবি। লাউ, পালং, কুমড়ো পাতায় আগল দিবি… অন্ধকার কপালে রেখে আসবি আলো। পিঁপড়ের ডিমে তুই বাসা হবি, অরণ্যের হাসি।
তারপরে মৃত হব…
এই তো নিয়ম মা রে! পৃথিবীর ভালো কাঁধে তোল! আলো বাঁধ চোখে… প্রাণ ঢেলে দে পাহাড়ের কোলে, সিন্ধু গঙ্গা জলে…
যা ভেসে যা দূরে…
বৃষ্টি! মা আমার! মৃত্যুর পরে তোর নাম রাখবো সৃষ্টি…
—----------––
SUJAN MITHI (SUJATA MISHRA)
No comments:
Post a Comment