ভিক্ষুক ও ঈশ্বর

বাবু হে…

ডুবতাসি…

বাঁচায়ে লন!

বাবু হে...এ…!


ছেলেটা চিৎকার করে ওঠে

ওরা ডুবে যাচ্ছে!

ওরা মরে যাচ্ছে!

ওদের বাঁচাতে হবে!

কে আছো মন্দিরে?

কে আছো মূর্তিতে?

আমায় একবার ঈশ্বর বানিয়ে দাও!

আমি ওদের তুলে নিয়ে আসি।


ওরা আবার চিৎকার করে...

বাবু হে…

বাঁচায়ে লন!

ডুবতাসি…!


ছেলেটা ছুটতে থাকে।

ওরা ডুবে যাচ্ছে।


পথ আটকে ধরে ভিক্ষুক,

তিনদিন খাইনি বাবু!

ছেলেটা বিরক্তি ঢেলে দেয় তার পুঁটলিতে

আঃ! পথ ছাড়ো

আমায় ঈশ্বর হতে হবে!

ওরা যে ডুবে যাচ্ছে..

ওদের বাঁচাতে হবে!


ভিক্ষুক হাসে।

কোথায় ওরা?

নদী কোথায়?

সাগর?

ঈশ্বর হতে গেলে প্রথমে তোমাকেই নদী হতে হবে।

প্রথমে তোমাকেই ডুবতে হবে,

প্রথমে তোমাকেই ভিক্ষুক হতে হবে।


ছেলেটার প্রেমিকা ছেলেটাকে বলেছিল

তোমার জন্য প্রেম নয়, অসুখ দরকারি।


চলে যাওয়ার আগে ভিক্ষুক বলে গেল,

ডুবে যেতে যেতে যদি মন্দির অথবা

মূর্তি আঁকড়ে ধরো

তবে তোমার ঈশ্বর হওয়া নয়

অসুখ হওয়া দরকারি।


মন্দিরে ঝুলছিল তালা,

মূর্তিতে শুকনো ঘাস।


ছেলেটা দুটো কান চেপে ধরল

তারপর চিৎকার করল...

বাবু হে…

বাঁচায়ে লন…

আমি ঈশ্বর হতে চাই না…

ভিক্ষুকের ভিক্ষা হতে চাই!

বাবু হে…

  

-----------

Sujata Mishra

No comments:

Post a Comment